ভাগ্য
- Md Abir hosen - ভাবনা ১৭-০৫-২০২৪

যখন লোকটা কর্মে বিশ্বাসী না
হয়ে,শুধুই ভাগ্যে বিশ্বাস করা শুরু
করে,তখন
হতাশা আর দুঃখের পাখি তার জীবনে
ডানা মেলে।যখন ব্যর্থতা আর হতাশার
পাখি
তার জীবনে এসে ভর করে,তখন সেই
ভাগ্যেবিশ্বাসী লোকটা শুধু ভাগ্যে
বিশ্বাস
করে ঘরে থাকে বসে।ভাবে
সে,বিধাতা বসে আছে তার ভাগ্যের
চাবি নিয়ে।চাইলেই
বিধাতা তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে
দিতে পারে।তাহলে সে বাকি জীবন
বেশ সুখেই
কাটাতে পারে।আরে বুঝিস না কেন
বোকা,তুই যদি নাই করিস
চেষ্টা,তাহলে কি করে
বিধাতা ঘুরিয়ে দিবে তোর ভাগ্যের
চাকা?তুই কি বুঝিস না কর্ম ছাড়া
বিধাতা
কখনোই ঘুরায় না ভাগ্যের চাকা।তবুও
লোকটা বুঝতে চাইনা সেই কথা,কর্ম
না করে
ভাগ্য বদলের আশায় নিঃশেষ করে তার
জীবনটা।হতাশার পাখির উপর উড়তে
উড়তে,অনেক
পরে লোকটা বুঝতে পারে যে,সে
জীবনে প্রায় শেষ প্রান্তে এসেছে।
দুঃখ ভরা
জীবনে তার কিছুই করা হয়নি,তবুও
তার মনে জেগে থাকে ভাগ্য নামক এক
আশার
প্রতিচ্ছবি।আবার হতভাগা লোকটি
ভাবে,জীবনে তো কিছুই আমি
পাইনি,শুনেছি
তো,যে জীবনে কিছু পাইনি সে নাকি
স্বর্গে যাবে তাড়াতাড়ি!আরে হ্যাঁ
তো,তাহলে বিধাতা আমার ভাগ্যে
সত্যিই রেখেছে স্বর্গের
বাগানবাড়ি।মৃত্ব্যর
পর বিধাতা আমায় সেই বাড়ি দিবে
খুব তাড়াতাড়ি।আফসোস বোকা তোর
জন্যি,যখন তুই
পৃথিবী থেকে পারলি নিতে স্বর্গের
চাবি,তখন তুই কিভাবে ভাবলি,
স্বর্গের
চাবি ছাড়া ঢুকবি তুই স্বর্গের
বাগানবাড়ি?এখোনো বলছি তোকে
মূর্খ,জেগে উঠ
তুই ডোবার আগে সূর্য।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।